মানুষ যতই ইন্টারনেট আসক্ত হয়ে পড়ছে ততই তারা পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এরফলে মানুষের মাঝে বিষণ্ণতা ও একাকীত্ব বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও গেমগুলো শিশুদের অমনোযোগিতা সমস্যা সৃষ্টির জন্য বিশেষভাবে দায়ী। তিনি আরো বলেন, বাস্তবে কারো সাথে পরিচিত হওয়ার সাথে ভার্চুয়াল জগতের কারো সাথে পরিচিত হবার মাঝে অনেক মৌলিক পার্থক্য আছে। কারণ মুখোমুখি পরিচয়ে আমাদেরকে একজনের সাথে কথা বলতে হয়, তাদের কথার ভেবে-চিন্তে উত্তর দিতে হয়। কিন্তু ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টির এই মূল বিষয়গুলো অনুপস্থিত।
এর আগে রয়াল সোসাইটি অব মেডিসিনের ড. এরিক সিগমান তার এক গবেষণাপত্রের ফলাফল দিয়ে তোলপাড় ফেলে দেন। যেগুলোতে বলা হয়, অনলাইন নেটওয়ার্কিং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে আর অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার বাড়িয়ে দেয় ক্যান্সারের ঝুঁকি। এরিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আমাদের উপর কি ধরণের প্রভাব ফেলছে সেটি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। বলাই বাহুল্য প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি হতাশ। তিনি বলেন মুখ আর কম্পিউটার স্ক্রিনের যোগাযোগের চেয়ে মুখোমুখি যোগাযোগ অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা একা থাকেন তাদের তুলনায় যারা অনেক মানুষের সাথে মেশেন, তারা অনেক বেশি সুস্থ থাকেন।
মানুষ যতই ইন্টারনেট আসক্ত
হয়ে পড়ছে ততই তারা পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এরফলে মানুষের মাঝে বিষণ্ণতা ও একাকীত্ব বাড়ছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি মানুষের মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে? সরাসরি হয়তো নয়, তবে কিছু নেট ওয়ার্কিং বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এরকমটা ঘটছে ধীরে ধীরে। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি ফেসবুক বা টুইটারে অতিরিক্ত সময় দেয়ার কারণে মানুষের কাজের চাপ বেড়ে যাচ্ছে। যা বাড়িয়ে দেয় স্বাস্থ্যঝুঁকি।
আরেকজন বিজ্ঞানী ড. কামরান আব্বাসি Journal of the Royal Society of Medicine এর সম্পাদকীয়তে বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় দিতে গিয়ে মানুষ তার প্রতিদিনের কাজকে ব্যহত করছে।“ এছাড়া কোন ফেসবুক বন্ধুর ক্রমাগত উন্নতির আপডেট পেলে বেশিরভাগ মানুষের মনেই নিজেদের প্রতি এক ধরণের হতাশা ও হীনমন্যতা চলে আসে, যা তাদের সামনে এগিয়ে যাবার পথে সমস্যা সৃষ্টি করে।
No comments:
Post a Comment