যে ছোট্ট কাজগুলো আপনাকে দেবে ভালো স্বাস্থ্য ও চির যৌবনের নিশ্চয়তা !


আমরা সকলেই জানি স্বাস্থ্য সব কিছুর মূলে। স্বাস্থ্যের ওপর আমাদের জীবনের প্রায় পুরো অংশটাই নির্ভরশীল। স্বাস্থ্য ঠিক তো সব ঠিক। গবেষণায় দেখা যায় যারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী তারা সকল দিক থেকে অন্য সকলের থেকে এগিয়ে থাকেন। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মন মেজাজ ভালো থাকে না, কোনো কাজে উৎসাহ আসে না। জীবনটা কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে আসে।
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে তাই আমাদের চেষ্টার সীমা নেই। আমরা সকলেই সুস্বাস্থ্য কামনা করি। সকলেই চাই যতদিন জীবিত আছি ভালো এবং সুস্থ শরীরে থাকতে। তবে কেবল ভালো স্বাস্থ্য নয়, সাথে যৌবনটাও ধরে রাখা চাই। ভালো স্বাস্থ্যের সাথে অক্ষয় যৌবন, তবেই না জীবন আনন্দময়। কিন্তু নিজের যৌবন ও স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে আমাদেরই সচেষ্ট হতে হবে। করতে হবে প্রয়োজনীয় কিছু কাজ। আর এতেই স্বাস্থ্য থাকবে ভালো সারাজীবন। একই সাথে অটুট থাকবে যৌবনের দিপ্তি ও সৌন্দর্য। এক কথায় অনন্ত যৌবন ধরা দেবে হাতের মুঠোয়।
ভালো খাদ্যাভ্যাস
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। খাবার আমাদের দেহের সকল কিছু নিয়ন্ত্রণের মূলে। খাবারের মাধ্যমে আমরা পাই দেহ পরিচালনা করার প্রয়োজনীয় এনার্জি। দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক পরিচালনার জন্য প্রয়োজন ভালো খাদ্যাভ্যাস। পরিমিত পরিমাণে এবং বয়স অনুযায়ী সকল খাদ্যউপাদান প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রত্যেকের থাকা উচিৎ। এতে স্বাস্থ্য থাকবে ভালো। ফাস্ট ফুড এবং বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার, অ্যালকোহল, ধূমপান থেকে দূরে থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম
প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিটের ব্যায়াম আপনার দেহকে চিরকাল সুস্থ রাখার জন্য যথেষ্ট। ব্যায়ামের ফলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে করে আমাদের মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, লিভার ও কিডনি সতেজ থাকে। এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম সঠিক ভাবে করতে সহায়তা করে। যতো ব্যস্ততাই থাকুক
না কেন প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করবেন। যারা অনেক বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
পরিমিত বিশ্রাম
সুস্থ থাকতে শারীরিক পরিশ্রমের যেমন প্রয়োজন রয়েছে তেমনই প্রয়োজন রয়েছে বিশ্রাম গ্রহণের। পরিমিত বিশ্রাম গ্রহণ আমাদের দেহের ক্ষয় হয়ে যাওয়া এনার্জি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। দেহের নতুন কোষ গঠন করতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ থেকে রেহাই দেয় পরিমিত বিশ্রাম। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্কে নতুন নিউরনের সৃষ্টি হয়। এতে আমাদের সুস্থতা বজায় থাকে। তাই বিশ্রাম নিয়ে অবহেলা নয়।
হাসিখুশি জীবনযাপন
শরীরটাকে সুস্থ রাখতে চাইলে আমাদের নিজেদের যাপন করতে হবে হাসিখুশি জীবন। জতবেশি দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকবেন আপনার স্বাস্থ্য ততবেশি ভালো থাকবে। হাসি আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে। এতে নানা রোগ থেকে আমরা রেহাই পাই। হাসি আমাদের হৃদপিণ্ড ভালো রাখে। মানসিক চাপ দূর করে দেয় এক নিমেষে হাসিখুশি চিন্তা। ইতিবাচক চিন্তা করুন। দেখবেন জীবনটা যতো সহজ ভাবে নেবেন সমস্যা তত ছোট হয়ে আসবে, দুশ্চিন্তা কমে যাবে এবং সুস্থ থাকবেন।
আর সবচাইতে বড় শর্ত… ভালোবাসুন, ভালোবাসা পান। জীবনের প্রতিটি পাতা ভরিয়ে তুলুন শুধু মাত্র ভালোবাসা দিয়ে। এই ভালোবাসার জাদুই আপনাকে রাখবে সুস্থ। রাখবে অক্ষয় যৌবনের অধিকারী। এবং দেবে দীর্ঘ জীবন।

No comments:

Post a Comment