মানব শরীর নিয়ে অজানা তথ্য


375px-Surface_projections_of_the_organs_of_the_trunk যদি আপনার ওজন আধা কেজিও বেড়ে যায় তাহলে তার সঙ্গে তাল রক্ষা করতে আপনার শরীর ১১ কিলোমিটার লম্বা রক্তনালি তৈরি করে। এর সরল অর্থ শরীরে রক্ত চলাচলে সমন্বয় আনতে ওই ১১ কিলোমিটার রক্তনালির জন্য আপনার শরীরকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এর অবশ্যম্ভাবী ফল হলো আপনার হৃৎপণ্ডের ওপর চাপ বেড়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে একটি ভালো খবর হচ্ছে, আপনি যদি ওজন আধা কিলো সময়মতো কমিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে অপ্রয়োজনে সৃষ্ট (!) ওই রক্তনালিগুলোও মারা যায় (মিলিয়ে যায়)।শরীরে অণুর সংখ্যা কত?
যদি প্রশ্ন করা হয়, আমাদের শরীরে অণুর সংখ্যা কত? যদি এই সংখ্যাটা আগে থেকে না জেনে থাকেন, তাহলে নিশ্চিত উত্তর জেনে অবাক হবেন । একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে ৭ অক্টাটিলিয়ন অ্যাটম বা অণু থাকে। ১ অক্টাটিলিয়ন = ১০০০ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন।
সবচেয়ে বড় ক্রোমোজম
আমাদের শরীরে সবচেয়ে বড় মলিকিউল হচ্ছে ক্রোমোজম-১। .এতে ১০ লাখ অ্যাটম বা অণু থাকে। সাধারণ মানুষের কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজম থাকে। এর মধ্যে ক্রোমোজম-১ হচ্ছে সব থেকে বড়।
সিসাও গলে যায় কিন্তু গলে না পরিপাকতন্ত্র!
মানুষের পরিপাকতন্ত্রে যে অ্যাসিড থাকে তার তেজ এত কড়া যে দস্তাও গলিয়ে ফেলতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে আমাদের নাড়ি-ভুঁড়ি তাতে গলে যায় না কেন? এই ভয়াবহ ঘটনাটা ঘটে না। কারণ পরিপাকতন্ত্রের ভিতরে অবিরত নতুন কোষকলা তৈরি হতে থাকে। এগুলো এত দ্রুত গতিতে সৃষ্টি হতে থাকে যে এর অভ্যন্তরে থাকা অ্যাসিড পরিপাকতন্ত্রকে গলানোর সময়ই পায় না।
দিনে ১ লাখ বার
আমাদের চোখের পিউপিল দিনে এক লাখ বার নড়াচড়া করে
। যদি আপনার পাগুলোকে এ অনুপাতে নড়াচড়া করান, তাহলে দিনে ৮০ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে।
হাড়ের শক্তি কত?
চমকে দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দেহের হাড়ও কম যায় না। আমাদের হাড় এতটাই মজবুত যে, এর প্রতি ঘন ইঞ্চির ওজন সহনক্ষমতা হচ্ছে ৮৬৬ টন।
সবচেয়ে বড় অঙ্গ
আমাদের দেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ হচ্ছে ত্বক (চামড়া)। .ত্বকের আয়তন প্রায় ২০ বর্গফুট। এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা বিরামহীন বদলাতে থাকে। মানুষ তার জীবনকালে গড়ে ১৮ কেজি ত্বক পরিবর্তন করে।
৬ মাসে পুরো দুনিয়া আবাদ
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের অণ্ডকোষে দৈনিক গড়ে ১০ লাখ স্পার্ম সেল বা শুক্রাণু তৈরি হয়। অর্থাত্ এর প্রতিটি যদি নিষিক্ত হয়ে সন্তান উত্পাদন করতে পারত তাহলে এই পৃথিবীর সমপরিমাণ জায়গা মানুষে ভরে দিতে একজন পুরুষের মাত্র ৬ মাস সময় লাগবে।
সিনেমা মিথ্যা তথ্য দেয়
কোনো কোনো সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় দেখানো হয়—স্পেসটিস্যুবিহীন মানুষকে মহাশূন্যে ছেড়ে দিলে মহাজাগতিক প্রচণ্ড চাপে তার শরীর বিস্ফোরিত হয়ে যায়। এটা বিজ্ঞানসম্মত নয়, রীতিমতো গাঁজাখুরি কাণ্ড। মানুষের শরীর এতটাই চাপসহন ক্ষমতাসম্পন্ন যে, সে ধরনের পরিস্থিতিতে তা ফাটার আশঙ্কা নেই। তেবে হ্যাঁ, মহাশূন্যে ওভাবে কাউকে ছেড়ে দিলে অক্সিজেনের অভাবে তার হবে।
৫ মিনিটে ঘুম!
যদি বিছানায় শোয়ার ৫ মিনিটেই ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে বুঝতে হবে, যাকে আমরা আরামের নিদ্রা বলি তা পুরোপুরি হচ্ছে না। শরীর স্বাভাবিক পন্থায় ঘুমিয়ে পড়ার পরিস্থিতিতে পৌঁছতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে। এর কম সময় লাগলে বুঝতে হবে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ঘুম হচ্ছ না।

No comments:

Post a Comment