জীবনে সফল হতে চাইলে যা কিছু জানতেই হবে আপনাকে


sunshineজীবনে সাফল্যের জন্য কোন বিষয়টি জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? এর কোনো সহজ উত্তর নেই। তবে ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া হলে তা সাফল্যের পথকে উন্মুক্ত করে। এতে বেড়ে যায় জীবনে সাফল্যের সম্ভাবনা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. অধিকাংশ মানুষ আপনার বিষয়ে লক্ষ্য রাখে না
আপনি নতুন একটি গাড়ি কিনেছেন কিংবা অফিসে একটা প্রমোশন পেয়েছেন, আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার আশপাশের মানুষ এসব বিষয়ের বিস্তারিত খবর রাখছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এসব বিষয় আপনার আশপাশের মানুষ খুব একটা খবর রাখে না।
২. সত্যিকার বন্ধুরা আপনার অর্জন কিংবা অবস্থান নিয়ে মনযোগী হবে না
আপনাকে যারা ভালোবাসে, কিংবা আপনার যারা সত্যিকার বন্ধু তাদের সহজেই চিনতে পারবেন কোনো লক্ষ্য অর্জন করার পর। আপনার ভালো কোনো অর্জনে প্রিয়জনরা অবশ্যই খুশি হবে। কিন্তু যারা আপনাকে ভালোবাসে, সে অর্জনের কারণে আপনার প্রতি তাদের আচরণ পাল্টাবে না।
৩. টাকার জন্য জীবন আপনার সুখ আনবে না
আপনার আগ্রহের বিষয়ে মনযোগ দিন, মানিব্যাগের দিকে নয়। বহু মানুষ আছে যারা বহু পরিশ্রম করে অর্থ সঞ্চয় করলেও সে অর্থ কোনো কাজে ব্যয় করতে পারেন না।
৪. ঋণ নেওয়ার কোনো আবশ্যিকতা নেই
আপনি যদি শিক্ষা বিষয়ে ঋণ নিতে চান, সেক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। কিন্তু শুধু জীবনযাপনের জন্য ঋণ নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। ঋণের বদলে আপনার বর্তমানে যা আছে, তাই নিয়ে চলাটাই সবচেয়ে ভালো।
৫. তোষামোদ শক্তিশালী বিষয়
কোন ধরনের শব্দ ও ভাষা মানুষকে অনুপ্রাণীত ও খুশী করতে পারে তা লক্ষ্য করুন। এতে অন্য মানুষেরা আপনার কথায় প্রভাবিত হবে। কারো মনোভাব পরিবর্তনে কীভাবে কাজ করতে হবে, সে বিষয়টি লক্ষ্য করতে পারলে আপনার উন্নতি সহজ হবে।
৬. সবার প্রতি আপনার দায়িত্ব রয়েছে, আবার নিজের প্রতিও রয়েছে
মানুষ হিসেবে আপনার দায়িত্ব রয়েছে সবার প্রতি নজর দেওয়ার। আবার নিজের প্রতিও আপনার নজর প্রয়োজন। আপনার নিজের সুখ ও সাফল্যের জন্যও প্রয়োজন এ দায়িত্ববোধ।
জীবনে সাফল্যের জন্য যে ৩০টি বিষয় জানা প্রয়োজন
৭. আশাতীত বিষয়ের জন্য প্রস্তুতি নিন
কোন বিষয়টি কীভাবে কাজ করে, কীভাবে প্রতিষ্ঠান চালানো হয়, সবকিছু জেনে রাখার পরেও অনেক সময় গণ্ডগোল হয়ে যায়। এ কারণে সম্ভাব্য সব বিষয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়।
৮. নিজের বর্ণনা করার সুযোগ দেবেন না অন্যদের
মানুষ একটি সমাজের অংশ হিসেবেই গড়ে ওঠে। ফলে অন্য মানুষকে নিজের সম্পর্কে বলার সুযোগ দিলে তাতে সঠিক বিষয়টি নাও উঠে আসতে পারে।
৯. প্রয়োজনীয়তার বাইরে যেতে হবে
সাফল্যের জন্য আপনাকে অবশ্যই অন্য মানুষদের চেয়ে বেশি দক্ষতা দেখাতে হবে। আর আপনি যখন শীর্ষে চলে যাবেন তখন নিজের সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করুন।
১০. সচেতনতার গুরুত্ব সর্বাধিক
অন্যরা আপনাকে যেভাবে দেখে, সেভাবে নিজের দিকে দেখা সবচেয়ে ভালো। এমন দৃষ্টিতে নিজেকে দেখতে পারলে আপনি অন্যদের সহজেই বুঝতে পারবেন্
১১. আপনার প্রত্যেক কাজেই পূর্বধারণা কাজ করে
আপনার প্রত্যেক সিদ্ধান্তের পেছনে কাজ করে পূর্বধারণা। আপনি যদি এ পূর্বধারণাগুলো সম্বন্ধে সঠিকভাবে জানতে পারেন, তাহলে যে কোনো সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাস্তবতার ছোঁয়া পাবেন। এতে সঠিক কাজ করতে সুবিধা হবে।
১২. বর্তমানে গুরুত্ব দেওয়া আপনাকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাবে
আপনি যদি মেনে নেন যে, অতীত পার হয়ে গেছে এবং তাকে পরিবর্তন করা যাবে না। আর ভবিষ্যৎকে আপনি নিজের কাজের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারবেন, তাহলে তা আপনার লক্ষ্য সাধনে সহায়ক হবে।
১৩. ভিন্নধর্মী মানুষেরা আপনাকে সমৃদ্ধ করবে
প্রিয় মানুষদের আপনার আশপাশে সব সময় রাখলে তা আপনার সৃজনশীলতা কমিয়ে দেবে। আর আপনি যদি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি চান, তাহলে রাখুন ভিন্ন ধরনের মানুষদের। এতে আপনি দ্রুত বহু বিষয় শিখতে পারবেন।
১৪. বেশি বেশি ভ্রমণ করুন
ভ্রমণ শুধু বহু পথই দেখায় না, এর ফলে আপনি জীবনের নতুন নতুন সম্ভাবনাও আবিষ্কার করতে পারবেন। এটি আপনার মস্তিষ্ক থেকে স্বয়ংক্রিয় চালক দূর করবে এবং সতেজ অবস্থায় কাজে ফিরতে সাহায্য করবে।
১৫. নিজের আগ্রহের বিষয় না পাওয়া পর্যন্ত ঝুঁকি নিতেই হবে
আপনার আগ্রহের বিষয়ে কোনো কাজ যতদিন খুঁজে না পাচ্ছেন, খুঁজতে থাকুন। এজন্য ঝুঁকি নেওয়ার বিকল্প নেই।
১৬. নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা অবশ্যপালনীয়
আপনি যদি স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে দুর্বল বা অসুস্থ হন তাহলে ক্যারিয়ারের উন্নতিতে তা বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এ কারণে স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। অন্যথায় এটি কর্মক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে।
১৭. আপনার সুনাম রক্ষা করতেই হবে
আপনার সুনাম রক্ষা করা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। সৎ, বিশ্বাসী ও অন্যের প্রতি দয়ালু থাকা খুবই প্রয়োজনীয়।
১৮. সিদ্ধান্ত গ্রহণে আবেগের ভূমিকা দূর করুন
উদ্বেগ, ভয়, রাগ ইত্যাদি দীর্ঘদিনের অর্জনকে ধূলিস্যাৎ করে দিতে পারে। বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি যথেষ্ট ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়টি ভেবে দেখেছেন, তা নিশ্চিত হয়ে নিন।
১৯. অন্যকে ও নিজেকে ক্ষমা করে দিন
অপরিচিত মানুষ কিংবা প্রিয় মানুষ যে কেউ আপনাকে আঘাত দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেখালেও পরে তা ভুলে যাওয়াই ভালো। ক্ষমা না করলে তা উল্টো আপনার ক্ষতির কারণ হবে।
২০. বড় লক্ষ্যের খোঁজ করুন
আপনি আপনার তুলনায় বড় একটি বিশ্বে বাস করেন। এ কারণে কীভাবে সে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, তার সন্ধান করুন।
২১. জীবন ছোট
সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে। জীবন ছোট একটি সময়। এ সময়ে তাড়াহুড়া করার কোনো বিকল্প নেই।
২২. বহু বিষয় আপনি জানেন না
আপনার সব বিষয়ে জ্ঞান থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণে কোনো কাজে যদি অন্যের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়, তাতে লজ্জার কিছু নেই। প্রয়োজনীয় সব সময় অন্যের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
২৩. নিজের সঙ্গে সৎ থাকুন
আপনি যদি একজন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠেন তাহলে সব বিষয় সম্বন্ধেই ধারণা থাকতে হবে। আর এজন্য সততার কোনো বিকল্প নেই।
২৪. সুখ একটি পছন্দ
আপনার আচরণ নিজস্ব একটি সিদ্ধান্ত। সুখী ও ইতিবাচক হতে পারলে তা আপনার পক্ষে যে কোনো পরিস্থিতিতেই সাফল্য অর্জন করা সহজ হবে।
২৫. আত্মবিশ্বাস আপনাকে এগিয়ে নেবে
আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী হন তাহলে অন্যেরাও আপনাকে বিশ্বাস করবে। আর নিজের প্রতি যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে তাহলে অন্যরা বিশ্বাস করতে ভরসা পাবে না। ফলে আপনার এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি প্রয়োজনীয়।
২৬. প্রত্যেকেই চিন্তিত থাকে
সবাই পতনের ভয়ে ভীত থাকে। এ কারণে তাদের ভয়কে কাজে লাগাতে পারলে আপনার পক্ষে সাফল্য পাওয়া সহজ হতে পারে।
২৭. যে কেউ আঘাত পেতে পারে
মাত্রাভেদে সবাই সংবেদনশীল। এ কারণে সবার প্রতি দয়ালু থাকা উচিত। সামান্য ইশারাও কাউকে খুশী বা অসন্তুষ্ট করতে পারে।
২৮. কোনোকিছুই নিখুঁত নয়
পৃথিবী সিনেমা নয়, বাস্তব। আর বাস্তবে ভালো মানুষেরা সব সময় বিজয়ী হয় না। আপনার যা আছে, তা নিয়েই সুখী হন। এতে আপনি শক্তিশালী ও সুখী হবেন।
২৯. অন্যদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান
হিরোদের থেকে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করুন। তাদের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এতে আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
৩০. সাফল্যের ক্ষেত্রে ভাগ্যের ভূমিকা সবচেয়ে কম
আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে ভাগ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। এজন্য আপনার প্রচেষ্টাই ভাগ্য তৈরি করবে।

No comments:

Post a Comment